আসক্তি দূরীকরণ সিরিজ ৩ (মোবাইল ফোন এর আসক্তি দূরীকরণ)


"হঠাৎ একবার একটি বিপ্লবী পণ্য আসে যা সবকিছু পরিবর্তন করে দেয়"

এই উক্তিটি স্টিভ জবস ২০০৭ সালে ১ম iPhone introduce করার সময় বলেছিলেন। আজ আমরা এর বাস্তবতা দেখতে পারছি। 

মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছে যে মোবাইল ফোন ছাড়া আমরা আমাদের ১টা দিন কল্পনা করতে পারি না। 

আমাদের ফোনগুলো ডিজাইনই করা হয় আমাদের আসক্ত করার জন্য। আমাদের ফোন গুলোতে কি নেই? Camera, Telegraphs, telephones, radios, movies, television, video games, even books সবকিছুই আছে। একজন মানুষকে আসক্ত করতে যা কিছু প্রয়োজন প্রায় সবই এখানে আছে। 

মোবাইল ফোন আবিষ্কারের উদ্দেশ্য মানুষের উপকার হলেও এর ক্ষতিকর দিক অনেক বেশি। 

প্রথমেই একটা বিষয় ক্লিয়ার করে নেই। এই পোস্টে আমি মোবাইল ফোনের উপকারিতা অস্বীকার করছি না বা মোবাইল ফোনের যে পজেটিভ ব্যবহার করা সম্ভব তাও অস্বীকার করছি না। 

সমস্যাটা মোবাইল ফোন না। সমস্যাটা হচ্ছে মোবাইল ফোনের সাথে আমাদের সম্পর্কটা। আমি চেষ্টা করব কিভাবে আপনি আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহারকে নিজের আয়ত্তে রাখবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে। 

এই পোস্টটি আমি কয়েকটি ভাগে করব & প্রতিটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

১. কিভাবে বুঝবেন আপনি মোবাইল ফোনে আসক্ত
২. মোবাইল ফোন আসক্তির সমস্যা সমূহ
৩. মোবাইল ফোনের আসক্তি দূরীকরণ 
৪. ইসলামে মোবাইল ফোন ব্যবহার: বৈধতার সীমা কতটুকু? 

(১) কিভাবে বুঝবেন আপনি মোবাইল ফোনে আসক্তঃ

• প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর যে জিনিসটা আপনি সর্বপ্রথম হাতে নেন & ঘুমাতে যাওয়ার আগে যে জিনিসটা সর্বশেষ হাত থেকে রাখেন ওটা কি আপনার মোবাইল ফোন? 

• সময় দেখতে বা অল্প একটু সময় মোবাইলটা হাতে নিলেই ১/২ ঘন্টা চলে যায়? সময় কখন চলে যায় বুঝতেই পারে না? 

• আপনি চান আপনার মোবাইল ফোন যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে কিন্তু পারছেন না?

উপরে যে ৩টা প্রশ্ন আমি উল্লেখ করেছি সে প্রশ্ন গুলোর উত্তর যদি হ্যাঁ হয়। তাহলে আপনি মোবাইল ফোনে আসক্ত একজন। 

আর যখন আপনি মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে যাবেন। তখন আপনি নিজ থেকেই বুঝতে পারবেন যে আপনি মোবাইল ফোনে আসক্ত। 

এরপরও কেউ যদি সায়েন্টিফিক ভাবে জানতে চান আপনি মোবাইল ফোনে কতটুকু আসক্ত। তাহলে নিচের লিঙ্ক থেকে Mobile phone addiction test টি করতে পারেন। 
⬇️⬇️⬇️
https://islamicresourcelibrary.blogspot.com/2021/07/how-can-you-know-that-you-are-addicted.html

(২) মোবাইল ফোন আসক্তির সমস্যা সমূহঃ

মোবাইল ফোন এর সমস্যা এত বেশি যে এগুলো দেখলে মনে হয় মানুষ এসব জানার পরও কিভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে? 

মোবাইল ফোন আপনার মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে আপনার স্মৃতিশক্তি, চোখ, কান এর বিপুল ক্ষতি করে থাকে। 

মোবাইল ফোন কিভাবে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি করে বিস্তারিত জানতে নিচের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। 
⬇️⬇️⬇️
https://www.dw.com/en/is-your-mobile-phone-damaging-your-brain/a-45020000

এছাড়া মোবাইল ফোনে আরো অনেক সমস্যা রয়েছে তা হলঃ

১. হারানোর ভয়

মোবাইল ঠিক জায়গায় আছে কিনা তা নিয়ে মন সব সময় সতর্ক থাকে। মোবাইল হারানোর ভয় থেকে মনের মধ্যে জন্ম নেয় এক সমস্যা। গবেষকেরা মোবাইলের সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর এই ভয়জনিত অসুখের নাম দিয়েছেন ‘নোমোফোবিয়া’ যার পুরো নাম ‘নো মোবাইল-ফোন ফোবিয়া’। 

২. ঘুমের মধ্যে প্রভাব

মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত ব্যবহার ঘুমের মধ্যেও প্রভাব ফেলে। অসময় বার্তা পাঠানো, চ্যাটিং করার ফলে ঘুমের মধ্যে সমস্যা হয়। 

মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ, ফোন নিয়ে দিন কাটানো, এমন অবস্থায় স্লিপ টেক্সটিং ঘটতে পারে। রাতে বিছানার পাশে মুঠোফোন না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।

৩. কমতে পারে চোখের জ্যোতি

যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মুঠোফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে তা ব্যবহার করেন। তবে, অনেকের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার। সংবাদপত্র, বই বা কোনো কিছু পড়ার ক্ষেত্রে সাধারণত চোখ থেকে গড়ে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্ব থাকে। 

চোখের খুব কাছে রেখে অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে জিনগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষীণদৃষ্টি সৃষ্টির জন্য যা ভূমিকা রাখতে সক্ষম। গবেষকেরা একে ‘এপিজেনেটিকস’ সংক্রান্ত বিষয় বলেন। গবেষকেরা দীর্ঘক্ষণ ধরে স্মার্টফোনে চোখ না রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। 

দৈনিক কিছু সময় মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তাঁরা। স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা।

৪. কানে কম শোনা

ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা তৈরি হতে পারে। হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গান শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে। 

৫. ঘুম নেই

স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখার ফলে সবচে বেশি দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা বা নিদ্রাহীনতা। 

৬. টয়লেট সিটের চেয়েও নোংরা

মার্কিন গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, টয়লেট সিটের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে ফোনে। মুঠোফোন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এটি জীবাণুর অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। 

৭. শরীরের অস্থি-সন্ধিগুলোর ক্ষতি

অতিরিক্ত সময় ধরে মেসেজ বা বার্তা টাইপ করা হলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে এবং অবস্থা বেশি খারাপ হলে আর্থরাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

এ ছাড়াও অনেকে অনেকেই কাজের সময় মুঠোফোন ব্যবহার করতে গিয়ে কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন রেখে কথা বলেন। অনেকেই অতিরিক্ত ঝুঁকে বসে দীর্ঘ সময় ধরে বার্তা পাঠাতে থাকেন। বসার ভঙ্গির কারণেও শরীরে নানা অসুবিধা দেখা দিতে পারে। 

চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ধরে মুঠোফোনে বার্তা লিখবেন না, এতে করে শরীরের জয়েন্ট বা সন্ধির সমস্যা থেকে সুস্থ থাকতে পারবেন।

সোর্সঃ প্রথম আলো & যুগান্তর

(৩) মোবাইল ফোনের আসক্তি দূরীকরণঃ

আপনার জন্য সুসংবাদ হল, 
আমরা আমাদের ফোনের অনেক নেতিবাচক প্রভাবকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারি, আমাদের কাজে মনোযোগ পুনর্নির্মাণ করতে পারেন, আমাদের স্ট্রেস কম করতে পারি, আমাদের স্মৃতিগুলিকে উন্নত করতে পারি এবং আবারো একটি ভাল রাতের ঘুম আশা করতে পারি & আমাদের ডিভাইস থেকে আমাদের জীবন ফিরিয়ে নিতে পারি।

এজন্য আমাদের ফোনের সাথে আমাদের সম্পর্কটা পরিবর্তন করতে হবে। মেডিকেলে এধরনের আসক্তি যেমনঃ সিগারেট & মাদকে আসক্ত ব্যক্তির জন্যে Mindfulness নামক চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি মূলত একটি মেডিটেশন পদ্ধতি। 

এখানে মেডিটেশন ইসলামে হালাল নাকি হারাম সে সম্পর্কে আমি কিছুই বলব না। তবে এখানে আমি আমার মতামত তুলে ধরব। 

আমার মতামত হলঃ

পৃথিবীতে যত মেডিটেশন আছে সব থেকে বড় মেডিটেশন হচ্ছে নামাজ। আর এটা প্রতিটা মুসলিমই জানে। তাই একজন মুসলিম হিসেবে আমি বলব দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ, বিশেষ করে তাহাজ্জুদের নামাজ মনযোগ সহকারে আদায় করার। কারণ এসময় আপনি একা নিরব পরিবেশে থাকেন। ফলে কঠিন মনোযোগ সহকারে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারেন। নামাজের পর কান্না করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে থাকুন। ইনশাল্লাহ আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন। 

এখন আমি কিছু টিপস দিব যে গুলো ফলো করলে ইনশাল্লাহ আপনি অনেকখানি ফোন থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

১. ঘুমানোর সময় বালিশের পাশে মুঠোফোন নিয়ে ঘুমাবেন না। এতে ফোনের তেজস্ক্রিয়াজনিত ঝুঁকি থেকে মুক্ত হওয়া যায়। মোবাইল ফোন আপনার বিছানা থেকে দূরে বা টেবিলে রেখে শুতে যান। এতে করে ঘুম থেকে উঠেই স্মার্টফোনে চোখ রাখার অভ্যাসও কমে যাবে। 

২. কোনো মিটিং কিংবা ক্লাসে বা পড়াশোনার সময় মুঠোফোন সাইলেন্ট করে ব্যাগে কিংবা টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দিন। এতে আপনার কাজে মনযোগ বৃদ্ধি পাবে। 

৩. খাওয়ার সময় কখনোই ফোন ব্যবহার করবেন না। খাওয়া উপভোগ করার জন্য ফোন থেকে দূরে থাকুন।

৪. YourHour, Space, ActionDash সহ বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার এর সময় & সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি কমাতে পারেন। এই অ্যাপগুলো আপনার মুঠোফোনে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন অ্যাপ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রেখে আপনার আসক্তি কমাতে পারে। 

এছাড়া আপনি কোন এপটা কতটুকু সময় ব্যবহার করতে চান তা সেট করে দিতে পারেন। ঐ নির্দিষ্ট সময় শেষে ঐ এপটা আপনাকে জানিয়ে দিবে যে সময় শেষ। এতে করে অতিরিক্ত সময় নষ্ট হবে না। 

৫. পড়ার অভ্যাস স্মার্টফোনে আসক্তি অনেকটা
কমিয়ে আনে। তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 

আগে বই পড়ার অভ্যাস না থাকার কারণে বুঝতে পারছেন না কোন বই পড়বেন? তাহলে নিচের লিঙ্ক থেকে অবশ্য পাঠ্য ১০০ বই এর লিস্টটি দেখে আসতে পারেন। 
⬇️⬇️⬇️
https://m.facebook.com/groups/963422407394224/permalink/1209002422836220/

৬. ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, টুইটারসহ সকল সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সেটিংস অপশন থেকে নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন। যখন প্রয়োজন হবে এপস এ ঢুকে নটিফিকেশন চেক করে নিবেন। এতে আপনি কাজে ফোকাস থাকতে পারবেন। 

৭. স্মার্টফোনে আসক্তি কমাতে সাধারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করতে পারেন, যা শুধু কাজের জন্য কল দেওয়া আর খুদেবার্তা পাঠানোর জন্য ব্যবহার করবেন। যখন স্মার্টফোন এর প্রয়োজন হবে শুরু তখনই স্মার্টফোন হাতে নিবেন। 

৮. বিভিন্ন আড্ডা কিংবা খেলার মাঠে নিজের অংশগ্রহণ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। বন্ধুদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার, বন্ধুদের চোখে চোখ রেখে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠুন, এতেও মুঠোফোন আসক্তি অনেক কমে আসে।

৯. ফোনে ই-বুক পড়ার অভ্যাসের বদলে রঙিন বই পড়ার অভ্যাস করুন।

১০. ছোট বাচ্চাদের হাতে উচ্চপ্রযুক্তির স্মার্টফোন তুলে না দেওয়াই ভালো। খুব প্রয়োজন হলে সাধারণ ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারেন।

১১. দৈনন্দিন কাজের হিসাব, মিটিং কখন, ক্লাস রুটিন সহ সাধারণ নোট গুলো লেখার জন্য মুঠোফোনের অ্যাপ ব্যবহারের চেয়ে ডায়েরিতে হাতে-কলমে লেখার অভ্যাস করুন।

১২. যানজটে বসে মুঠোফোনে মুখ না গুঁজে ব্যাগে বই রাখতে পারেন। যানজটে মুঠোফোনে গান না শুনে বা ফেসবুক ব্যবহার না করে বই পড়ার অভ্যাস করুন।

১৩. কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে সেলফি কিংবা ফোনে ছবি তোলার বদলে অনুষ্ঠানের অতিথিদের সঙ্গে পরিচিতি বাড়ান আর গল্প করার অভ্যাস করুন।

সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন, ফেমিনা, দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা

আরো বিস্তারিত জানতে এই বইটা পড়তে পারেন।
(How to breakup with your Phone) 

Download link:
⬇️⬇️⬇️
bd@b-ok@as/book/5967972/60104b
(@ এর জায়গায় ডট/. দিয়ে ওপেন করূন)

এই পোস্টটি তৈরিতে এই বইটি থেকে অনেক সাহায্য নেওয়া হয়েছে। আমি বলব যারা ইংরেজি পড়ে বুঝতে পারেন তারা সবাই এই বইটা পড়ুন।

(৪) ইসলামে মোবাইল ফোন ব্যবহার: বৈধতার সীমা কতটুকু?

একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদের জানা উচিত মোবাইল ব্যবহার সম্পর্কে ইসলামের অবস্থান কি। এজন্য আমি আপনাদের একটা বই রিকমেন্ড করব।

বইঃ মোবাইল ফোন ব্যবহার: বৈধতার সীমা কতটুকু?
লেখঃ মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম

পিডিএফ ভার্সনের ডাউনলোড করতে চাইলেঃ
https://islamhouse.com/bn/books/308399/

হার্ড কপি কিনতে চাইলেঃ
https://www.rokomari.com/book/124272/-series-no--33-mobile-phone-babohar-boidhotar-sima-kototuku-

গুরুত্বপূর্ণঃ

মোবাইল ফোন ব্যবহার এর শরীয় নীতি মালা নিয়ে সায়েখ আহমাদুল্লাহ এর একটা ১ ঘন্টা ১০ মিনিটের একটা লেকচার আছে। অবশ্যই নিচের লিঙ্ক থেকে লেকচার টা শুনুন। 
⬇️
https://youtu.be/JpW9dsyS-mk

আমি চেষ্টা করেছি পোস্টটা যথা সম্ভব ছোট রাখতে। তারপরও পোস্টটা অনেক বড় হয়ে গেছে। যারা ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়েছেন তাদের জাজাকাল্লাহ খইরান। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন আপনার জন্য এই আসক্তি দূরীকরণ কে সহজ করে দেন।

"আসক্তি দূরীকরণ সিরিজ এর অন্য পর্ব গুলোর লিংক কমেন্টে সেকশনে দিয়ে দিচ্ছি" 

এরকম আরো ইসলামিক রিসোর্স পেতে জয়েন হতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে। 
⬇️⬇️⬇️
www.facebook.com/groups/963422407394224

পোস্টটি কপি/শেয়ার করে সাদাকায়ে জারিয়া চালু রাখুন। জাযাকাল্লাহু খইরন।

পোস্টটি কপি/শেয়ার করে দাওয়াতি কাজে শরীক হতে পারেন। কারণ রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“প্রচার করো যদি একটি আয়াতও হয়” 
(সহিহ বুখারি)।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন